১৯৭১ সালে বিজয় দিবসের মাহেন্দ্রক্ষণ যতই ঘনিয়ে আসছিল, ততই দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ছিল বিজয়ের ধ্বনি। একাত্তরের সেই আগুনঝরা দিনগুলিতে, বাংলার দামাল ছেলেদের মুক্তির মশাল, আলোকিত করতে থাকে বাংলার শহর, গ্রাম, প্রান্তর।
আর বীর মুক্তিসেনাদের পায়ের আওয়াজে, পিছু হটতে থাকে বর্বর পাকসেনারা। এভাবে বিজয় দিবসের আগের দিনও, শত্রুমুক্ত হয় বেশ কিছু এলাকা। মঙ্গলবার সেসব এলাকাগুলোতে বিজয় গাঁথা চিত্র সময় টিভির এক প্রতিবেদনে ওঠে আসে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দিনাজপুরে মুক্তির ২দিন আগে, বিরল উপজেলার বহলা গ্রামে ৩২ জন গ্রামবাসীকে নির্মমভাবে হত্যা করে পাকসেনারা। খবর পেয়ে, পাকসেনাদের প্রতিহত করতে, চতুর্দিক থেকে এগোতে থাকে মুক্তিযোদ্ধারা। ভীত হানাদার বাহিনী ১৪ ডিসেম্বর রাতে, দিনাজপুরের কাঞ্চন ব্রিজ ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দিয়ে, সৈয়দপুর শহরে পালিয়ে যায়। পরদিন সকালে মুক্তিসেনারা জেলায় প্রবেশ করলে, বিজয়োল্লাস করে দিনাজপুরবাসী।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ: একাত্তরের ১৪ই ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের রেহাইচর এলাকায় পাকসেনাদের গুলিতে শহীদ হন, বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর। এ খবরে শোকাহত হয়ে পড়ে, ৭ নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধারা। ১৫ ডিসেম্বর ভোরে, তাঁরা চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে প্রবেশ করে, জেলাকে শত্রুমুক্ত করে। ঐদিন সকালেই ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরের লাশ উদ্ধার করে, ঐতিহাসিক ছোট সোনা মসজিদে সমাহিত করেন তারা।
এদিকে, গাজীপুরে ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে, হানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের তুমুল যুদ্ধ হয়। পরদিন সকালে পাকসেনারা আত্মসমর্পণ করলে, মুক্ত হয় গাজীপুর জেলা।