সম্প্রতি আম্পায়ারদের হেলমেট ব্যবহার করার জন্য অনুমতি চেয়ে কিছুদিন আগে আইসিসির কাছে অনুরোধ করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার আম্পায়ার কার্ল ওয়েন্টজেল। তবে এবার দেখা গেলো মাঠে সেই হেলমেট পরেই দায়িত্ব পালন করলেন ভারতীয় একজন আম্পায়ার।
ছয় বছর ধরে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পালন করা গিরিশ পাঠক ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেট লিগের (বিজয় হারারে ট্রফি) একটি ম্যাচ চলাকালীন হেলমেট পড়ে মাঠের দায়িত্বে নামেন।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) গত দুই আসরে দায়িত্ব পালন করা গিরিশ পাঠক দুর্ঘটনা এড়াতে হরিয়ানা-কেরালার মধ্যকার ৫০ ওভারের ম্যাচে হেলমেট মাথায় নিয়ে কর্নাটকের মাঠে নামেন। ম্যাচ শেষে জানান, ফিলিপ হিউজ ও ইসরায়েলি আম্পায়ারের মৃত্যুর ঘটনার কথা চিন্তা করেই এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
বললেন, ‘গত বছর অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যান ফিলিপ হিউজ মাথায় বলের আঘাত পেয়ে মৃত্যুবরণ করেন। কিছুদিন আগেই মাথায় বল লেগে মারা যান ইসরায়েলি আম্পায়ার হিলেল অস্কার। এসব ভেবে আমি হেলমেট পড়ে দায়িত্ব পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে, এর আগে আমি ভেবেছি, হেলমেট পড়া অবস্থায় কেমন অনুভূতি হবে, দায়িত্ব পালনে কোনো সমস্যা হবে কি না। আমি এ নিয়ে আরও আম্পায়ারদের সঙ্গে আলোচনা করেছি।’
পাঞ্জাব আর তামিলনাড়ুর মধ্যকার রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পালন করেছিলেন গিরিশ ও অস্ট্রেলিয়ার জন ওয়ার্ড। সেই ম্যাচে ব্যাটসম্যানের হাঁকানো একটি বল জন ওয়ার্ডের মাথায় আঘাত করে।
এ প্রসঙ্গে ৩৯ বছর বয়সী গিরিশ বলেন, ‘আমি সে ম্যাচটিতে স্কয়ার লেগ পজিশনে দায়িত্ব পালন করছিলাম। ওয়ার্ডের মাথায় যখন বলটি আঘাত করে, তখন একটি ভয়ঙ্কর শব্দ বের হয়। আমি ভেবেছিলাম তার মাথা ফেটে গেছে। কিন্তু ঈশ্বর তাকে বাঁচিয়ে রেখেছে।’
দুর্ঘটনা এড়াতে আম্পায়ারদের হেলমেটে পড়ার জন্য বিশ্বক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা আইসিসি’র কাছে আবেদন জানানো ওয়েন্টজেলের ২০০১ সালে একটি ম্যাচে আম্পায়ারিং করার সময় বল লেগে পাঁচটি দাঁত পড়ে গিয়েছিল। অস্ত্রোপচার করতে তার খরচ হয়েছিল ৪৪ হাজার ডলার। এরপর থেকেই হেলমেট মাথায় নিয়ে মাঠে নামেন ওয়েন্টজেল। তার নামটিও হয়ে গেছে ‘হেলমেট ওয়েন্টজেল’।
গিরিশ পাঠকের হেলমেট পড়ে দায়িত্ব পালন করার পর আইসিসি এবার ওয়েন্টজেলের প্রস্তাবটা নিয়ে ভেবে দেখতে পারে।