‘বিশ্বাসে মেলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর।’ এই আপ্তবাক্যে অগাধ বিশ্বাস জুয়েল রানার। দেশের ফুটবলের অন্যতম সেরা রক্ষণ-সৈনিক ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়কের মতে, সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের মতো বড় প্রতিযোগিতায় এই ‘বিশ্বাস’ই এনে দিতে পারে সাফল্য।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রতিযোগিতার প্রথম ম্যাচটা খেলতে নামার আগে দেশের ইতিহাসের অন্যতম সফল অধিনায়কের পরামর্শ থেকেই সাহস নিতে পারে বাংলাদেশ দল। প্রতিযোগিতার বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে গ্রুপের প্রথম ম্যাচটা কঠিন হলেও জুয়েল রানা মনে করেন, ম্যাচটাতে ভালোই করবে বাংলাদেশ।
কোচ মারুফুল হকের প্রতি দারুণ আস্থা সাফ গেমসে সোনাজয়ী এই অধিনায়কের, ‘মারুফকে কোচ বানানোটা খুব ভালো সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্থানীয় কোচদের মধ্যে নিঃসন্দেহে সেরা। সবচেয়ে বড় কথা, খেলোয়াড়দের কাছ থেকে সেরাটা কীভাবে আদায় করতে হয়, সেটা তিনি খুব ভালো করেই জানেন।’
১৯৯৭ সালে কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত প্রথম সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ছিলেন জুয়েল। ১৯৯৯ সালে গোয়ার সাফেও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলকে। একই বছর সেপ্টেম্বরে কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত সাফ গেমসে তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশ পায় সাফ গেমস ফুটবলের অধরা সোনার পদকটি। নিজে অদম্য সাহস নিয়ে রক্ষণ আগলেছেন। সেই সাহস যেন ছড়িয়ে দিতে চান উত্তরসূরিদের মধ্যেও।
দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের প্রতিটি দলের বিপক্ষেই একাধিকবার করে মাঠে নামা সাবেক এই তারকা ফুটবলার মনে করেন, বছরজুড়ে বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা খেলার মধ্যে থাকার কারণে এবারের সাফে ভালো করার সম্ভাবনা প্রবল। কিন্তু সাফল্য পেতে হলে নিজেদের ওপর আস্থা রাখাটা সবচেয়ে জরুরি, ‘এ বছর বাংলাদেশ যতগুলো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে, সেগুলো কিন্তু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে যথেষ্ট কাজে লাগবে। এ বছর খেলোয়াড়েরা অস্ট্রেলিয়া ও জর্ডানের মতো দুটো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ম্যাচ খেলেছে। ম্যাচ খেলেছে তাজিকিস্তান, কিরগিজস্তান, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার মতো বেশ ভালো দলের বিপক্ষে। ম্যাচগুলোর অভিজ্ঞতা অমূল্য। ওখানে খেলোয়াড়েরা যা কিছু শিখেছে সেগুলোই তারা সাফের মাঠে প্রয়োগ করুক। সাফল্য আসবেই। আফগানিস্তানও আমাদের অজানা প্রতিপক্ষ নয়।’
আফগানিস্তান, প্রথম ম্যাচেই সাফ চ্যাম্পিয়নদের মুখোমুখি। কিন্তু ভয় কীসের? ‘কনফিডেন্স ইজ দ্য হাফ ভিক্টরি!’
