বিশ্বসেরা কে? এমন প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই বলেন রোনালদো। না, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো নন, ‘দ্য ফেনোমেনন’ রোনালদো।
চোটের কারণে ক্যারিয়ারের অধিকাংশ সময়ই নিজের সেরাটা দিতে পারেননি। তবুও সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়দের ছোট তালিকায় নাম চলে আসে এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের। রিয়াল মাদ্রিদে কোচ থাকার সময় রোনালদোকে কাছ থেকে দেখেছিলেন ফাবিও ক্যাপেলোর। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই নিজের দেখা সেরা খেলোয়াড় হিসেবে রোনালদোকে বেছে নিয়েছেন এ ইতালিয়ান।
মজার ব্যাপার, ‘নেতিবাচক প্রভাব ফেলা’ খেলোয়াড় হিসেবেও রোনালদোকে বেছে নিয়েছেন ক্যাপেলো। ২০০৬-২০০৭ মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন তিনি। রিয়ালের ‘তারকাপুঞ্জে’র তখন ক্ষয়িষ্ণু দশা। লুইস ফিগো দল ছেড়েছেন বহু আগে। জিনেদিন জিদান অবসরে চলে গিয়েছেন। ক্লাবটি সর্বশেষ শিরোপা জিতেছে তারও তিন বছর আগে। এ অবস্থায় স্প্যানিশ জায়ান্টদের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ক্যাপেলো।
মাত্রই বিশ্বকাপে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ড গড়া রোনালদোকে নিয়েই দল সাজানোর কথা ছিল কোচের। কিন্তু প্রাক মৌসুমে কোচকে হতাশ করেন রোনালদো। রোনালদোর সেই সময়ের কথাই শোনালেন ক্যাপেলো, ‘আমি কোচিং করিয়েছি এমন খেলোয়াড়ের মাঝে রোনালদোই সেরা। কিন্তু প্রাক মৌসুমে সে যখন মাদ্রিদে এল, তখন তার ওজন ছিল ৯৬ কেজি! আমি তাঁর ওজন ৮৮-৯০ এ নামাতে বললাম।’
কিন্তু রোনালদো কোচের কথা পাত্তাই দেননি! ফিটনেসের উন্নতি না করেই মৌসুমের প্রথমার্ধ কাটিয়ে দিয়েছিলেন। ফলে মাঝ মৌসুমেই ক্লাব ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। এ নিয়ে আক্ষেপ আছে ক্যাপেলোর। কিন্তু তাঁর যে কিছুই করার ছিল না সেটিও জানালেন, ‘আমার পক্ষে কিছু করা সম্ভব ছিল না। সে একজন অসাধারণ খেলোয়াড়। কিন্তু দলের জন্য বাজে দৃষ্টান্ত তৈরি করেছিল।’
রোনালদো ক্লাব ছাড়লেও ওই মৌসুমে লা লিগার শিরোপা ঠিকই জিতেছিল রিয়াল। কিন্তু শিরোপা জিতিয়েও ক্লাবটিতে টিকতে পারেননি ক্যাপেলো। তাঁর অতি রক্ষণাত্মক মনোভাব ও বিভিন্ন খেলোয়াড়ের সঙ্গে তাঁর আচরণগত সমস্যার কারণে মাত্র ৬ মাস পরেই রিয়াল ছাড়তে হয় তাঁকেও।