শীতকালে ঠান্ডা, শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বক হয়ে পড়ে শুষ্ক, খসখসে, ম্যাড়ম্যাড়ে ও রুক্ষ। কখনো বেড়ে যায় চুলকানি। কারও ত্বক ফেটে ফেটে যায়, আবার কারও হয়ে যায় সাদাটে। তাই শীতে চাই ত্বকের বাড়তি যত্ন।
১. শীতকালে ত্বকের শুষ্কতা ও রুক্ষতাই বড় সমস্যা। তাই ত্বককে যথেষ্ট আর্দ্র রাখা চাই। ত্বকে পানি ধরে রাখে—এমন তৈলাক্ত ময়েশ্চারাইজার, হেভি ক্রিম বা অয়েন্টমেন্ট এ সময় উপকারী। খুব গরম পানিতে গোসল করলে ত্বক আরও রুক্ষ হবে। গোসলের সময়টাও ১০ মিনিটের মধ্যেই সীমিত রাখুন। ময়েশ্চারযুক্ত বডিওয়াশ বা কম ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করুন। গোসলের পর তোয়ালে চেপে পানি সরিয়ে আর্দ্র অবস্থাতেই শরীরে লোশন মেখে নিন।
২. শীতকালে মিষ্টি রোদ পোহাতে ভালোই লাগে। কিন্তু এই সূর্যালোকের সংস্পর্শে ত্বক রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। তাই ত্বকে সানস্ক্রিন (কমপক্ষে ৩০ এসপিএফ মাত্রার) লাগানো উচিত। এতে ত্বক সুরক্ষিত থাকবে। অনেকে হিটার বা গরম সেঁক ব্যবহার করেন। এগুলোও ত্বককে অতিমাত্রায় শুষ্ক করে দেয়। ঘরে হিটার চালালেও ঘরটা আর্দ্র রাখুন।
৩. শীতে একজিমা, সোরিয়াসিস ইত্যাদি রোগের তীব্রতা বেড়ে যেতে পারে। অতিরিক্ত শুষ্কতাই এর কারণ। পেট্রোলিয়াম জেলি বা ভ্যাসলিন শুষ্ক স্থানে মেখে ত্বক ঢেকে রাখবেন। পায়ে ও হাতে সুতির মোজা পরে বের হবেন। খুব বেশি ক্রিম মাখলে আবার ত্বক তৈলাক্ত হতে পারে। এতে ব্রণ হতে পারে। তাই লক্ষ রাখুন, ত্বক যেন বেশি তেলতেলে না হয়ে যায়।
৪. বারবার মুখ ধোয়া বা অতিরিক্ত ফেসওয়াশ বা ক্লিনজার ব্যবহার করলে ত্বক রুক্ষ হতে পারে। তাই বলে যে মুখ পরিষ্কার করবেন না, তা নয়। এর জন্য ক্রিম বেসড বা ময়েশ্চারযুক্ত ক্লিনজার বা ফেসওয়াশ ব্যবহার করা ভালো। ত্বক আর্দ্র রাখার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ পানি পান করুন, তাজা শাকসবজি ও ফলমূল খান।
চর্মরোগ বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল
