বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইইউ সদস্যরাষ্ট্রগুলোতে ১৮ বছর ধরে কোন মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় নি। মৃত্যুদণ্ড রদ করার লক্ষ্যে ইউরোপিয় ইউনিয়নের মানবাধিকার বিষয়ক চুক্তির বিধান অনুমোদন দিতে ইইউভূক্ত রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। বেলারুসে অব্যাহতভাবে মৃত্যুদণ্ডের ব্যবহার নিয়ে নিন্দা জানিয়ে দেশটির কর্তৃপক্ষকে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি লঘু করার জোরালো আহ্বান জানানো হয়।
মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি রহিত করার লক্ষ্যে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে অবিলম্বে আনুষ্ঠানিকভাবে মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করার আহ্বান জানানো হয় দেশটির প্রতি। যেসব দেশগুলোতে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির বিধান রয়েছে এমন কয়েকটি দেশে গত বছর মাদক সংক্রান্ত মামলায় কয়েকটি মৃত্যুদণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কাউন্সিল অব ইউরোপ ও ইউরোপিয় ইউনিয়ন। এসব ক্ষেত্রে অপ্রাপ্তবয়স্কদের মৃত্যুদণ্ডের ঘটনাগুলোতে বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন তারা যা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।
২০১৪ সালের ১৮ই ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে গৃহীত মৃত্যুদন্ডের ব্যবহার স্থগিতকরণ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে কাউন্সির অব ইউরোপ ও ইইউ। বাংলাদেশে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রহিত এবং দণ্ডপ্রাপ্তদের ফাঁসি কার্যকর স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ঢাকায় ইইউভুক্ত মিশনগুলোর রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা এই আহ্বান জানিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, ইইউ আশা করে মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ মৃত্যুদণ্ড রোহিত ও দণ্ডপ্রাপ্তদের ফাঁসি কার্যকর স্থগিত রাখার জাতিসঙ্ঘের প্রস্তাবনা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে এবং বিশ্বে মৌলিক অধিকার ও মানবতার মর্যাদা রক্ষায় অবদান রাখবে।