বিশ্বের সর্বত্র এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জয় জয়কার ধ্বনি। স্বীকার করে নিতে হবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই জয়জয়কার অবস্থা তৈরিতে বিশাল অবদান রয়েছে ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ খ্যাত মাশরাফি বিন মর্তুজার। অধিনায়কের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে একের পর এক এসব জয়ের স্বাদ পাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট।
বাংলাদেশ ক্রিকেটকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় এবং টানা সাফল্যে এবার কিংবদন্তি ক্রিকেট অধিনায়কদের পাশে নাম লিখিয়েছেন টাইগার মাশরাফি। কমপক্ষে ১৫টি ওয়ানডে জিতিয়েছেন এমন অধিনায়কদের মধ্যে পুরো ক্যারিয়ারে ৭০ শতাংশ ম্যাচে জয় এনে দেয়া ইতিহাসের চার অধিনায়কের একজন মাশরাফি।
এমনকি অজি অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কের জয়ের হারও ৭০ শতাংশে পৌঁছায়নি। টানা হেরে যখন বাংলাদেশ দল অসহায়ের মত একজন সঠিক দলনেতা খুঁজছিলেন। ঠিক তখনই জাতির কান্ডারি হাতে নিয়ে বিশ্ব চিনিয়ে দিলেন নতুন এক বাংলাদেশকে। বিশ্বকাপে দলকে কোয়ার্টার ফাইনালে নিয়ে যাওয়া, ক্রিকেট পরাশক্তি সম্পন্ন দেশ ভারত-পাকিস্তান থেকে শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হোম সিরিজে হারানো। নিজেদের মাটিতে টানা পাঁচটি সিরিজের ট্রফি হাতে তোলা।
বাংলাদেশের নাম উজ্জল করে অধিনায়ক নিজেও জড়িয়ে গেছেন এক গৌরবের রেকর্ডে। কমপক্ষে ১৫টি ওয়ানডে জিতেছেন এমন অধিনায়কদের তালিকায় সাফল্যের দিক দিয়ে শীর্ষ পাঁচে আছেন মাশরাফি।
এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশকে ২৭টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ১৯টিতেই জয় তুলে নিয়েছেন তিনি। সাফল্যের হার ৭০.৩৭ শতাংশ। সাফল্যের হার বিবেচনা করলে মাশরাফি আছেন তালিকার চতুর্থ স্থানে। শীর্ষে আছেন কিংবদন্তিতুল্য অধিনায়ক লয়েড। সাফল্যের হার ৭৬.১৯ শতাংশ। এর পরেই পন্টিং (৭১.৭৪%) ও ক্রনিয়ে (৭১.৭৪%)। জয়-পরাজয়ের অনুপাত হিসেব করলেও মাশরাফি আছেন শীর্ষ পাঁচে। মাশরাফি ১৯ জয়ের বিপরীতে ৮টি ম্যাচে হেরেছেন।