রবিবার থেকে চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের(বিপিএল) দ্বিতীয় পর্বের খেলা শুরু হতে চলেছে। এবারের ভেন্যু চট্টগ্রাম। কিন্তু প্রাপ্তি আর অপ্রাপ্তির খাতায় একেবারে কম রেখে যায়নি প্রথম পর্ব। কখনো প্রশংসা কখনো বা সমালোচনা; দুটোরই স্বাদ ছিলো মিরপুরে। সেখান থেকেই বিশেষ চারটি সমালোচিত ঘটনা নিয়ে আজকের আয়োজন। জানাচ্ছেন সামিউল ইসলাম শোভন–
দেড়ঘন্টা বিলম্বে ম্যাচ শুরু:
টুর্নামেন্টের দ্বিতীয়দিনের প্রথম ম্যাচটি অনেকদিন মনে রাখবে বিপিএল। একই সঙ্গে দুইটি সমালোচিত ঘটনার জন্ম দিয়েছিলো ম্যাচটি। দিনের প্রথম ম্যাচ হিসেবে টস হওয়ার কথা ছিলো দেড়টায়, খেলা দুপুর দুইটায়। কিন্তু সিলেট সুপার স্টার্সের দুজন বিদেশি ক্রিকেটারের অনাপত্তি পত্র (এনওসি) না থাকার কারণে টসতো ২৬ মিনিট দেরি করে অনুষ্ঠিত হলোই, ম্যাচ শুরু হতে হতে বিকাল তিনটা বেজে ১০ মিনিট! শুরু থেকেই ‘গোছালো’ টুর্নামেন্ট করার প্রতিশ্রুতি দিলেও, শেষপর্যন্ত তা করে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড(বিসিবি) ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।
তামিম ইকবাল-সিলেট সুপার স্টার্স কর্ণধার দ্বন্দ্ব:
একই ম্যাচে সবাইকে অবাক করে চিটাগং ভাইকিংসের অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও সিলেট সুপার স্টার্সের কর্ণধার আজিজুল ইসলামের বাকবিতণ্ডা। এ নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। তামিম ইকবাল শুরু থেকেই অভিযোগ করেন, তাকে গালাগালি করেছেন আজিজুল ইসলাম। অন্যদিকে, এসব অভিযোগের অস্বীকার করেছেন সিলেট সুপার স্টার্সের মালিক। তবে পুরো বিষয়টি নিয়েই তদন্তে নেমেছে বিসিবি। বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানিয়েছেন।
সাকিবের নিষেধাজ্ঞা:
বিমানবন্দর থেকে নেমেই সরাসরি মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচ খেলতে ঢুকেছিলেন সাকিব আল হাসান। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই রংপুর রাইডার্সের এই অধিনায়ক দলকে জয় এনে দেন। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে। এবারের ঘটনাতেও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে রয়েছে সিলেট সুপার স্টার্স। সাকিবের করা একটি বলে প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম এলবিডব্লিউ হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও, তা দেননি কর্তব্যরত আম্পায়ার। এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় দুজনের মধ্যে। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলা এবং তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার শাস্তিস্বরূপ পরের ম্যাচে নিষিদ্ধ হন সাকিব। একই সঙ্গে ৩০ হাজার টাকা জরিমানাও গুনতে হয় তাকে।
ব্যাট হাতে শহীদকে তেড়ে গেলেন আল আমিন:
বরিশাল বুলস ও সিলেট সুপার স্টার্সের ম্যাচে এই ঘটনা ঘটে। প্রথম ইনিংসের শেষ উইকেটে ব্যাট করছিলেন আল আমিন। বোলার মোহাম্মদ শহীদ। পরপর দুটি বাউন্স দেওয়ার পর তৃতীয় বলেই বোল্ড হন আল আমিন। কিন্তু উদযাপনের শরীরি ভাষাটাও ইতিবাচক ছিলো না একটুও। একই সঙ্গে আল আমিনকে লক্ষ্য করেও কটু কথা বলা শুরু করেন শহীদ। তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ব্যাট হাতে তেড়ে আসেন আল আমিন। পরে সিলেটের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও আম্পায়ারদের সহায়তায় দুজনকে আলাদা করা হয়। সাকিবের মতো নিষিদ্ধ না হলেও, আল আমিনকে ৪০ হাজার ও শহীদকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।