ম্যানইউর হয়ে নিজের প্রথম গোল করেছেন স্নেইডারলিন। ১৮ মিনিটে তিনি লিড এনে দেন দলকে। চার মিনিট পর ব্যবধান বাড়ান হেরেরা। ম্যানইউ গোলরক্ষক দাভিদ দি গিয়া দারুণ ফর্ম দেখাচ্ছেন। তিনি ঠেকিয়েছেন রমেলু লুকাকু ও রস বার্কলের চেষ্টা। ম্যাচের আগে ম্যানেজার লুই ফন হাল রুনিকে বলেছিলেন তার এভার্টন ফাড়া কাটাতে। তাই করেছেন রুনি। ৬২ মিনিটে গোল করে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার দ্বিতীয় জায়গাটিতে অ্যান্ডি কোলের পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন। রুনির গোল ১৮৭টি।
আর্সেনালের কাছ একদিন আগের ৩-০ গোলের হার কাটা হয়ে বিধছিল ম্যানইউ খেলোয়াড়দের মনে। সেখান থেকে মুক্তি পেতেই আক্রমণে আক্রমণে তারা বিপর্যন্ত করে এভার্টনকে। ১০ মিনিটে হুয়ান মাতা ও রুনি মিলে আক্রমণ তৈরি করেন। রুনির শটটা লক্ষ্যহীনভাবে চলে যায় দূরে।
এরপর হেরেরার শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন এভার্টন গোলকিপার টিম হাওয়ার্ড। কর্নারের বল থেকে স্নেইডারলিন লিড এনে দেন দলকে। ২২ মিনিটে ম্যানইউর দ্বিতীয় গোলের কারিগর রোহো। এই আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার নিখুত ক্রস পাঠান। হেরেরা চমৎকার হেডে করেন লক্ষ্যভেদ। রুনি সুন্দর একটি বল বানিয়ে দিয়েছিলেন অ্যান্থনি মার্শালকে। এই ফরাসী টিনেজারের গোলের চেষ্টা ঠেকিয়েছেন স্টোনস ও গ্যালোওয়ে।
৫৪ মিনিটে দি গিয়া লুকাকুর একটি চেষ্টা নষ্ট করেছেন। এরপর বার্কেলের ফ্রি কিক ব্যর্থ করে দিয়েছেন। এভার্টন দ্বিতীয়ার্ধে বেশি আক্রমণ করেছে। কিন্তু একটি দুরন্ত কাউন্টার অ্যাটাকে এভার্টনের ফেরার পথ বন্ধ করে দেন রুনি। জাগিয়েলকার ভুল পাসে বল চলে যায় স্নেইডারলিনের কাছে। তার কাছ থেকে হেরেরা হয়ে বল যায় রুনির কাছে। ইংলিশ অধিনায়ক ডান পায়ের শটে ব্যবধান করেন ৩-০।
এরপর মার্শালের কাছ থেকে পাওয়া বলকে জালে জড়াতে পারতেন রুনি। হতো ম্যানইউর চতুর্থ গোল। জাগিয়েলকা ও হাওয়ার্ড মিলে সেই চেষ্টা রুখেছেন। মার্শাল নিজেই একটা গোল করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সুযোগটা নষ্ট করেছেন। এই জয়ের পর পয়েন্ট টেবিলে আর্সেনালের সাথে দ্বিতীয় জায়গায় আছে ম্যানইউ।