আজকাল ডায়াবেটিস খুব সাধারণ একটি রোগে। এখন প্রায় প্রতিটি পরিবারের কেউ না কেউ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে। যদিও এই রোগটির কোন প্রতিকার নেই তবে খাবার ও জীবনযাপনে পরিবর্তন এনে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন দেহের ওজনের উপর নিয়ন্ত্রণ। বিশেষজ্ঞরা যেসব খাবারে ওমেগা৩ ফ্যাট এবং বেশি পরিমাণে আঁশ আছে সেসব খাবার গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
খেজুর: খেজুর উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ একটি ফল। যা ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে খুবই উপাকারী। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, অন্য যেকোন ফলেন তুলরা খেজুরে অনেক বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
অ্যাভোকাডো: মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ অ্যাভোকাডো যা হজমক্রিয়াকে ধীর করে এবং রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া অ্যাভোকাডোতে থাকা ভাল ফ্যাট ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে।
দুধ: ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি’র অন্যতম উৎস হচ্ছে দুধ। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে দুধের তৈরি পনির এবং কম চর্বিযুক্ত দইসহ অনান্য খাবারও খেতে পারেন।
পেয়ারা: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এক প্রকার সুপার ফুড হচ্ছে এই পেয়ারা। পেয়ারা উচ্চ মাত্রার ভিটামিন সি এবং খাদ্যআঁশ সমৃদ্ধ রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে।
তিসিবীজ: উচ্চ মাত্রার অমেগা৩ ফ্যাটি এসিড আছে তিসিবীজে। তাই প্রতিদিনের খাবারে তিসিবীজ যোগ করলে রক্তের সুগারের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
পিনাট বাটার: গবেষণায় দেখা যায় পিনাট বাটার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া এতে আরো রয়েছে মনোস্যাচুরাটেড ফ্যাট যা হৃদস্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
আপেল: আপেল হচ্ছে খাদ্যআঁশের চমৎকার একটি উৎস যা রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। আপলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি রেডিক্যালের প্রভাব থেকে দেহকে রক্ষা করে যা রক্তের সুগার বাড়ায়।
ডিম: গবেষণায় পাওয়া গেছে যে ডিম যদিও উচ্চ কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ তবুও এটি রক্তের সুগার কমাতে সাহায্য করে।
মাছ: বিশেষজ্ঞরা সাধারণত ডায়াবেটিসের রোগীদের মাছ খেতে বলেন। মাছ হচ্ছে ওমেগা৩ ফ্যাটি এসিডের চমৎকার উৎস যা ডায়াবেটিসের জন্য খুবই উপকারী।
সূত্র: টাইসম অব ইন্ডিয়া