পৃথিবীতে কষ্ট শব্দটা কার জীবনের গল্পে নেই? আর সারাদিন মানুষের নানারকম স্বার্থপরতা, কষ্ট, অভিমান আর খারাপ লাগাগুলো যেন অনেকটা না চাইতেই তরল হয়ে চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ে। খানিকটা একা হলে কিংবা রাতের অন্ধকার একটু বেশি গাঢ় রঙ মাখলেই কান্না জমে চোখের কোলে। সত্যি বলতে গেলে এই কান্নাটা কিন্তু ভাল। মনের কষ্ট অনেকটা হালকা হয়ে যায় এতে। কিন্তু সেতো গেল মনের যন্ত্রণা কমাবার কথা। কিন্তু হঠাত্ আসা এই দমকা কান্নার পর যে চোখটা ভীষনভাবে ফুলে থাকে, সে বেলায়? শুধু কি চোখ? মুখের অবস্থাও এসময় হয় একেবারে দেখবার মতন। কিন্তু এমন চেহারা নিয়ে কি আপনি যেতে চান আর কারো সামনে? নিশ্চয়ই না! আর তাই জেনে নিন চটজলদি কান্না থেকে হওয়া বিচ্ছিরি চেহারা আর ফোলা চোখ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়।
১. ঠান্ডা পানি ব্যবহার
চোখের ফোলাভাব দূর করতে প্রথমেই একটি ঠান্ডা পানির পাত্র বা বরফের টুকরোর ওপরে আপনার আঙ্গুল চেপে ধরুন। সেটা ঠান্ডা হয়ে গেলে চোখের ফুলে থাকা অংশে চেপে ধরুন। চেষ্টা করুন ফোলাভাবের নীচে জমে থাকা পানিকে বের করে দেওয়ার। এরপর এক টুকরো বরফ বা শসা তোয়ালেতে জড়িয়ে চোখের ওপরে ধরুন ( লিভ স্ট্রং )। শসার টুকরো হলে বেশ কয়েকটি টুকরো রাখুন খানিক পরপর বদলে দেওয়ার জন্যে। এছাড়াও একটু চা পাতার ব্যাগকে ঠান্ডা পানিতে চুবিয়ে সেটার ভেতরের পানি চিপে বের করে ফেলে চোখের ওপর রাখতে পারেন ( রিয়েল সিম্পল )। তবে কেবল ঠান্ডা পানি চোখে মাখলেই হবেনা, চোখের ফোলাভাব কমাতে বেশি করে পানিও খেতে হবে।
২. ডিমের সাদা অংশ
ডিমের সাদা অংশ চোখের নীচের ফোলাভাব কমিয়ে চমড়াকে টানটানে হতে সাহায্য করে ( টেন হোম রিমেডিস )। আর এক্ষেত্রে কুসুম ছাড়া ডিমের বাকি সাদা অংশটিকে বাটিতে নিয়ে সেটাকে আচ্ছামতন নাড়ান। এরপর তাতে যোগ করতে পারেন উইচ হ্যাজেল। মিশ্রণটি চোখের ফোলাভাবের ওপরে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
৩. আলু ও চামচ
ঠান্ডা আলু কিংবা ফ্রিজের ভেতরে রেখে দেওয়া ঠান্ডা চামচ, এদের যেকোনটাই কমিয়ে দিতে পারে আপনার চোখের ফোলাভাব। এছাড়াও রক্ত ও তরল চলাচলকারী শিরাগুলোকে থামিয়ে দিয়ে চোখের লালচে ভাবকেও দূর করতে পারে আলু, শসা, চায়ের ব্যাগ বা চামচের ঠান্ডা ভাব ( টেন হোম রিমেডিস )।
৪. লবন পানি
খানিকটা পানি হালকা গরম করে নিয়ে তাতে লবন মেশান। পানি খুব বেশি গরম বা লবনাক্ত যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। এরপর সেটাকে এক টুকরো তুলোয় ভিজিয়ে চোখের ফোলাভাবের ওপর লাগান। ১৫ থেকে ২০ মিনিট চোখে লাগিয়ে রাখুন মিশ্রণটি (টেন হোম রিমেডিস )। ঠান্ডা পানির মতনই এই খানিকটা উষ্ণ তরলও আপনাকে সাহায্য করবে তরলবাহী শিরাগুলোকে বন্ধ করে দিয়ে চোখের ফোলাভাব কমিয়ে দিতে।