উইকেট না পেলে কোন বোলার না হতাশ হন! সে যত বড় বোলারই হননা কেন হতাশা আসবেই তার। কিন্তু কতজনের মাথায় অধিনায়কের হাত থাকে? তবে বোলারের সেই ক্ষমতা থাকতে হয় যেন অধিনায়ক তার হতাশায় তার পাশে থাকে। হ্যাঁ বলছিলাম আবু হায়দার রনি ও মাশরাফি বিন মুর্তজার কথা।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) এবারের আসরে দুজনেই খেলছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে। আবু হায়দার রনির এটাই প্রথম মাশরাফির অধিনায়কত্বে খেলা। কিন্তু প্রথমবারেই যে অধিনায়কের মন পুরোপুরি জয় করে নিয়েছেন তা মাশরাফির কথায়ই বোঝা যায়।
নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে একটি জাতীয় দৈনিকে মাশরাফি বলেন, ‘ওর ভেতরে এমনিতেই অনেক কিছু আছে, যা আশাবাদী করে। সেসবে উন্নতি করতে পারলে আরও ভালো করবে।’
অধিনায়কের এই ধারণা আসার কারণও আছে। রনি তার সামর্থ্য দেখিয়ে যাচ্ছেন সেই অনুর্ধ্ব ১৭, অনুর্ধ্ব ১৯ দল থেকে।
সিলেট সুপার স্টার্সের বিপক্ষে উইকেট পাওয়ার পর রনির উচ্ছ্বাস। ছবিঃ প্রিয়.কম
বিপিএল বেশি মানুষের দোরগোড়ায় পৌছায় বিধায় হয়তো রনির এই সামর্থ্য এখন সবার নজর কাড়ছে কিন্তু সেই ২০১২ সালেই তার যোগ্যতার প্রমান পাওয়া গেছে অনুর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে। আর সেখান থেকেই আজকের এই রনির উঠে আসা। প্রতিপক্ষের শিবির কতোটা নাড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা তার আছে তা দেখিয়েছেন সোমবারের সিলেট সুপার স্টার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ম্যাচে। সহজেই জিতে যাওয়া ম্যাচেও সিলেট দলে দুশ্চিন্তা এনে দিয়েছিলেন তিনি।
অধিনায়ক মাশরাফি ভরসা করেই শেষ ওভারে রনির হাতে বল তুলে দেন। এবং অধিনায়কের ভরসা রাখতেই যেন পরপর দুই বলে সিলেটের দুই উইকেট নিয়ে নেন। কিন্তু সিলেটকে আটকাতে পারেননি। প্রচন্ড হতাশ হয়ে মাঠেই দাঁড়িয়েছিলেন খেলা শেষ হওয়ার পরেও, তখন মাশরাফি এগিয়ে এলেন, মাথায় হাত বুলিয়ে শান্তনা দিলেন। শুধু সে পর্যন্তই থেমে থাকলেন না। রনির প্রশংসা করতেও ভুললেন না।
মাশরাফি বলেন, ‘ নিজেকে ধরে রাখতে পারলে অনেক দূর যেতে পারবে। প্রথম থেকেই ইয়র্কার মারতে চায়। সেই আত্মবিশ্বাস ওর আছে। স্লোয়ারটাও খারাপ না। লেংথ বলও ভালো করে, জায়গায় বল করতে পারে। পেসও বেশ ভালো।’
অধিনায়ক মাশরাফি রনির ভেতরে দারুণ সম্ভাবনা দেখেন। এত অল্প বয়সে এতটা আগ্রাসি এবং লাইন-লেন্থ ঠিক রেখে বল করা দেখে মাশরাফি বেশ আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘এই বয়সে এতগুলো স্কিল থাকা মানে দারুণ ব্যাপার। আরও কাজ করলে দুই-এক বছর পর ও খুব ভালো বোলার হয়ে উঠবে।’