শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে বিশ্বকাপ থেকে দেশে ফিরতে হয়েছিল। তার আগে চাকিং নিয়মের বলি হয়ে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ হন। বোলিং অ্যাকশন শুধরে নিয়ে ফিরে আসলেও সংশয় ছিল। আল-আমিন সেই সংশয় দূর করেন সদ্য সমাপ্ত জিম্বাবুয়ে সিরিজে।
এরপর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) আরো বিধ্বংসী। সুইং আর গতি; সেই সঙ্গে মাঝে মাঝে স্লোয়ার দিয়ে শেষ করে দিয়েছেন মুশফিকুর রহিমের সিলেট সুপার স্টার্সকে। তার হ্যাট্রিক আগ্রাসনে (৩৬ রানে ৫ উইকেট নিয়ে) ১ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় এনে দিয়েছেন বরিশাল বুলসকে।
বিপিএলে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করেও খুব বেশি রোমাঞ্চ জাগেনি আল আমিন হোসেনের মনে! ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে হ্যাটট্রিক নিয়ে বাড়তি উচ্ছ্বাস ধরা পড়ল না আল আমিনের কণ্ঠে। বললেন, ‘এমন কিছু মনে হয়নি হ্যাটট্রিক করে…আগেও করেছি তো!’
তবে হ্যাটট্রিক পাওয়ার পেছনের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের অবদানের কথা জানাতে ভোলেননি আল-আমিন। তিনি জানান, অধিনায়ক রিয়াদের বুদ্ধিতেই তিনি হ্যাটট্রিক আদায় করে নেন।
কী বলেছিলেন রিয়াদ? জানতে চাইলে আল আমিন বলেন, ‘অধিনায়ক আমাকে বল ভেতরে ঢোকাতে বলেছিলেন। তার কথামতোই বল ভেতরে ঢোকানোর চেষ্টা করি।’
বিপিএলে বাংলাদেশের প্রথম হ্যাটট্রিক হলেও টি-টোয়েন্টিতে এর আগেও হ্যাটট্রিকের স্বাদ পেয়েছেন আল আমিন। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টিতে টানা চার বলে নিয়েছিলেন উইকেট!
ইউসিবি-বিসিবি একাদশের হয়ে সিলেটে সেদিন এক ওভারেই নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। ম্যাচ ফিগার ছিল ১৭ রানে ৫ উইকেট। আল আমিনের ইঙ্গিত ওই ম্যাচের দিকেই।
কিন্তু সেই হ্যাটট্রিক ছিল ইনিংসের শেষ ওভারে, উইকেটগুলো ছিল লোয়ার অর্ডারদের। এবার আল আমিনের হ্যাটট্রিকের তিন শিকারই টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যান। রবি বোপারাকে দিয়ে শুরু, পরের শিকার নুরুল হাসান, আর শেষে মুশফিকুর রহিমের স্টাম্প ভেঙ্গে দিয়ে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন।
তবে হ্যাটট্রিকের চেয়েও আল আমিন বেশি রোমাঞ্চিত দলের জয়ে। বললেন, ‘টার্গেট অনেক কম দিতে পেরেছিলাম আমরা। অধিনায়ক মাঠে নামার আগে আমাদের বলেছিলেন যে হারানোর কিছু নেই, পাওয়ার অনেক কিছু আছে। আমরাও নিজেদের উজার করে দিয়েছি।’