বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন করি, ডায়াবেটিস থেকে মুক্ত থাকি।
এ উপলক্ষে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতিসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন আজ দেশজুড়ে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে।
বর্তমান বিশ্বে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪০ কোটি এবং ২০৩০ সালে এ সংখ্যা ৫০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।
আশির দশকে দেশে ডায়াবেটিসের প্রবণতা ছিল মাত্র দুই শতাংশের মতো। সেখানে আজ তা ঢাকা শহরেই প্রায় ১০ শতাংশ ছুঁয়েছে এবং প্রি-ডায়াবেটিসের (ডায়াবেটিস এর আগের ধাপ) হার আরও প্রায় ১০ শতাংশ।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রামাঞ্চলেও এর সামগ্রিক প্রবণতা প্রায় ৫ থেকে ৮ শতাংশ। এভাবে বাড়তে থাকলে শুধু ডায়াবেটিসের কারণেই দেশের অর্থনৈতিক ভারসাম্য মারাত্মক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে। শুধু দেশেই এখন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৯০ লাখ। সেই সাথে প্রতি বছর এক লাখ নতুন রোগী যুক্ত হচ্ছে।
তাছাড়া ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ- যার কারণে দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কার্যক্ষমতা হ্রাস পেয়ে হার্ট অ্যাটাক, কিডনি ফেইলিউর, অন্ধ হয়ে যাওয়া, পায়ে পচন, এমনকি পা কেটে ফেলার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে এত বড় বৈশ্বিক এই স্বাস্থ্য সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধে দরকার জনসচেতনতা এবং জনসম্পৃক্ততা। সময় মতো ইন্টারভেশন (খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাত্রার পরিবর্তন), নিয়মিত হাঁটার দ্বারা প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ডায়াবেটিস প্রতিরোধ সম্ভব।
ডায়াবেটিক সমিতির কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- পদযাত্রা : আজ সকাল ৮টায়, শাহবাগ থেকে টিএসসি পর্যন্ত। সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত শাহবাগ (জাতীয় জাদুঘরের সামনে), ধানমণ্ডি রবীন্দ্র সরোবর এবং এনএইচএন ও এইচসিডিপির বিভিন্ন কেন্দ্রসংলগ্ন স্থানে বিনামূল্যে ডায়াবেটিস নির্ণয় করা হবে।
দুপুর ১২টায় বারডেম অডিটোরিয়ামে। আলোচনায় মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন প্রফেসর ডা. শুভাগত চৌধুরী।
এ উপলক্ষে আজ সকাল ৮টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের বটতলা থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হবে। প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. কামরুল হাসান খান।