উলফা নেতা অনুপ চেটিয়া ও নারায়ণগঞ্জের ৭ খুন মামলার অন্যতম আসামী নূর হোসেনের বিষয়টি এখনও পর্যবেক্ষণ করছে বিএনপি।
যদিও এ নিয়ে সকালে দলের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ব্যক্তিগতভাবে বক্তব্য দিয়েছেন। তবে দলটির মুখপাত্রের দায়িত্বে থাকা আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, ‘এ সম্পর্কে আজ বলবো না। সিনিয়র নেতৃবৃন্দ যেভাবে অভিমত দেবেন, বলতে বলবেন পরে সেভাবে জানানো হবে।’
শুক্রবার সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে রিপন বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষে ৩০টি আসন পাওয়া দুস্কর হবে। এ জন্যই তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনকে এড়িয়ে যেতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি মনে করে সরকার প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনকে এড়িয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থার বিনাশী পথে অগ্রসর হচ্ছে। একটি অবাধ নির্বাচনে হলে ৩০টির আসনও পাওয়া দুস্কর হবে।’
সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের ‘অত্যাচারে’ দেশবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দুর্নীতি ও দু:শাসন। শাসকদল যে জনগণ থেকে ক্রমাগতভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, বিষয়টি তারা উপলব্ধি করতে পারছে। যে কারণে সরকার একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকে ভীতির চোখেই দেখছে।’
রিপন বলেন, ‘শুধু গণতন্ত্র বাঁচানোর জন্য বিনা ভোটের সরকারের সঙ্গে বিএনপি-নাগরিক সমাজ সংলাপে বসার আগ্রহ দেখিয়েছিলো। ভবিষ্যতের সংকটকে এড়ানো এবং জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থকে বিবেচনা করে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু সরকার সেই প্রস্তাবে শুধু অনাগ্রহই দেখায়নি, এর মধ্য দিয়ে তারা নিজেরাও ঠকেছেন; যা ভবিষ্যতে প্রমাণ হবে।’
বগুড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার সমালোচনা করে রিপন বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য কুরুচিপূর্ণ এবং অরাজনৈতিক।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে চৌধুরী ইবনে ইউসুফ, ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, আবদুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম, শিরিন সুলতানাসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।